Sunday, 30 September 2018

নীল পরীর গল্প

নীল পরীর গল্প↙www.facebook.com/rupkotha.golpokotha2017

                             



নীল অপরাজিতা ফুল থেকে একটি পরী বেরিয়ে এলো। ফুলুফুলু রাজ্যের সবাই তো অবাক! ভাবছ ফুলুফুলু রাজ্যটা আবার কিরকম? বলছি শোন ফুলুফুলু রাজ্যে শুধু ফুলেরা বাস করে। তাদের প্রতিবেশী রাজ্যে হলো পুখুপুখু। এই রাজ্যে শুধু পাখিরা বাস করে।
এখন বলছি সেই পরীর কথা। পরীটির চোখের রঙ নীল। পুরো শরীরে রয়েছে তার নীল রঙের আভা। পুখুপুখু রাজ্যেও এই পরীর কথা পৌঁছে গেল।



বুলবুলি পাখি পরীর সঙ্গে দেখা করতে এলো। কিন্তু পরী কারো সঙ্গে কোনো কথা বলল না। এভাবে এক সপ্তাহ কেটে গেল। একদিন হঠাৎ পরী গান গাইল।
শিউলি ফুলপরীর কাছে এসে বলল, বাহ! তুমি তো অনেক ভালো গান গাও। কি নাম গো তোমার?
আমার নাম নীলপরী।
তুমি ফুলুফুলু রাজ্যে কেন এসেছ?
আমি ফুল হতে এসেছি।
মানে?
আমার খুব ইচ্ছা আমি ফুল হব। তারপর সবাই আমাকে ডাকবে নীল ফুলপরী।
তুমি ফুল কেন হতে চাও?
কারণ ফুলেরা অনেক নিষ্পাপ হয়। তারা কখনো কারো মনে কষ্ট দেয় না। ফুলেরা সবাইকে ভালোবাসতে পারে। ধনী, গরিব, ছোট, বড় সব মানুষকে তারা আদর ও সম্মান করে। আর জানো পৃথিবীতে যে কোনো উৎসবে সবাই ফুলকে অলঙ্কার করে সাজে। আবার ভালোবাসার সম্পর্কও বিনিময় করে ফুল দিয়ে।
এসব কথা শুনে শিউলি ফুল তো অনেক খুশি।
মনের আনন্দে সে বলল- দারুণ খবর শুনলাম। আচ্ছা নীলপরী তুমি কোথায় বাস কর?
আমি পৃথিবী গ্রহে বাস করি। আর যে দেশে থাকি সেই দেশের নাম বাংলাদেশ।
আচ্ছা তোমাদের দেশে কী কী উৎসব হয়?
ঈদ, পূজা, বড়দিন, নববর্ষ পালন। আর জন্মদিনেও ধুমধাম করে পালন করা হয়।
সব উৎসবে কি আমাদের দেখতে পাও?
অবশ্যই। তোমাদের অলঙ্কার করেই তো সবাই সাজে। আবার উৎসবগুলোয় একে অন্যকে ফুলও উপহার দেয়।
অসাধারণ। আমরা অনেক ভাগ্যবান, নীলপরী।
হুম। আমিও তাই মনে করি।
আচ্ছা তুমি ফুল হয়ে কি করবে?
সবার মাঝে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেব। যাতে কেউ কারো সঙ্গে হিংসা না করে। ঝগড়া-বিবাদ না করে। সবাই যেন সুখে-শান্তিতে বাস করতে পারে। তাই ফুল হবো।
বাহ! দারুণ কথা! শোন তুমি আর তিনদিন আমাদের রাজ্যে থাকলে ফুল হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ শিউলি ফুল।
নীল ফুলপরী অপেক্ষা করতে লাগল। এভাবে তিনদিন কাটল।
তারপর এক ভোরে নীলপরী ফুল হলো। তার ডানায় সাদা বেলিফুল ফুটল। মাথার মুকুটে ফুটল লাল গোলাপ। আর পুরো শরীরে ফুটল নীল অপরাজিতা ফুল।
এই খবর পুখুপুখু রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ল। পুখুপুখু রাজ্য থেকে শালিক, দোয়েল, বুলবুলি সবাই নীলপরীকে দেখতে এলো।
বুলবুলি পরীকে জিজ্ঞাসা করল-
কি নাম তোমার পরী?
আমি নীল ফুলপরী। 

রাজা ও রাজকন্যা

         রাজা ও রাজকন্যা এর গল্প


                   
এক দেশে ছিল এক রাজা।  তিনি অনেক ক্ষমতাধর  হয়েও সোমগিরির রাজা হিসেবে ছিলেন ভীষণ দয়ালু। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি তার ছিল অসীম ভালবাসা। প্রজাদের সুখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনা নিয়েই তিনি সারাক্ষণ ভাবতেন। ফলে সেই রাজ্যের মানুষেরা ছিল খুব সুখি। কোনো কিছুর অভাব ছিল না তাদের। তারাও তাদের রাজাকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। এত কিছু হলে কী হবে! এত শক্তি যে রাজার, এত সম্পদে পরিপূর্ণ যারভান্ডার, এত বিশাল আরমহৎ যারমন, সেই মনের গভীর কোণে ছিল এক নিদারুণ বেদনা। দারুণ অসুখি ছিলেন সেই রাজা। সব থেকেও তার যেন কিছুই নেই। তিনি যেন ভীষণ একা। সারাদিন আনমনা হয়ে থাকেন। কারণ রাজার একমাত্র সন্তান, রাজ্যের রাজকন্যা খুব অসুস্থ। সে দাঁড়াতেপারে না, বসতে পারে না। কথাও বলতেপারে না। দিন রাত কেবলই তাকে বিছানায় শুয়ে থাকতেহয়। রাজকন্যার বয়স পনের হলেও, তাকে দেখতে এখনও শিশুটির মতোইলাগে। ভীষণ কষ্টতার। সবার মতো সে চলাফেরা করতে পারেনা, মনের কথা বলার কোনো ভাষাও নেই তার। ক্ষুধা পেলেও কাউকে জানাতে পারেনা। জীবিত থেকেও সেযেন মৃত। সবার মাঝে থেকেও সে যেন সবার থেকে দূরে। দিন যায়, মাস যায়। ঘুরতে ঘুরতে কয়েকটা বছরও চলে যায়। রাজ্যেরসব বড় বড় ডাক্তার, কবিরাজ, হেকিম-বৈদ্যদের পালা শেষ। দূর-দূরান্তের রাজ্য থেকেও বড় বড় ডাক্তারদের পক্সিখরাজ ঘোড়ায় করে নিয়েআসা হল। কিন্তুকিছুতেই কিছুহল না। সকলেরই এক কথা। এঅসুখ কিছুতেই সারবার নয়। শেষেরাজা আর কী করেন! মনের দুঃখে যেন সব কিছুই ভুলে গেলেন। ভুলে গেলেন তার প্রাণপ্রিয় দেশের কথা, প্রজাদের কথা, এমনকি ভুলে গেলেন আহার-নিদ্রার কথাও। তারপর একদিন রাতের অন্ধকারেকাউকেকিছুনা বলে বেরিয়ে পড়লেন রাজপ্রাসাদ থেকে। সবাই যখন গভীর ঘুমেঅচেতন, তখন পোশাক পাল্টে চলে গেলেন রাজ্য ছেড়ে। দিন যায়, মাস যায়, কেউ আর রাজার কোনো সন্ধান পায় না। ঘুরতে ঘুরতে বছরখানেক পরে রাজা এসে পড়লেন এক জঙ্গলে। সে কী ভয়ংকর জঙ্গল! বাঘ, ভাল্লুক আর নানা বিষাক্ত সাপে পরিপূর্ণ সেই জঙ্গল। এদিকে রাজার ভীষণ ক্ষুধা পেয়েগেল। খাদ্যের সন্ধানে রাজা ঘুরে বেড়াতে থাকেন এদিকে সেদিকে। কিন্তুবনের ভেতরে এত গাছ, কোনো গাছে কোনো ফল নেই। অনাহারে-তৃষ্ণায় রাজার প্রাণ যায় যায়। শেষেক্লান্ত হয়ে এক গাছের নিচে বসে পড়লেন রাজা। ঠিক সেই সময় গাছের পাশ দিয়ে কলসি কাঁখেযাচ্ছিল এক ছোট্ট মেয়ে। কী সুন্দর মিষ্টি দেখতে! ছোট্টফুটফুটে গোলাকার মুখে দুটি বড় বড় চোখ। আর সেই চোখে যেন রাজ্যের কৌতূহল। রাজা তো ভীষণ অবাক। কী আজব ব্যাপার! এই ভয়ঙ্কর জঙ্গলে এত সুন্দর ছোট্ট মেয়েএল কোথা থেকে? রাজা মেয়েটিকে ডাকলেন। মানুষের কন্ঠ শুনেমেয়েটি তো প্রথমে অবাক। পরে রাজাকে দেখতেপেয়ে এগিয়ে গেল। মেয়েটি এগিয়েযেতেই রাজা বললেন-“মা, দারুণ তৃষ্ণা পেয়েছে। একটুজল খাওয়াবে?” মেয়েটি জল দিতেই রাজা যেন প্রাণে বাঁচলেন। তারপর বললেন, “কে তুমি মা? এই ভয়ঙ্করজঙ্গলেএকা একা কী করছ? এখানে এলে-ই বা কোথা থেকে?” মেয়েটি জানাল, এই জঙ্গলের মধ্যেই একটা ছোট্টকুটিরে মেয়েটি তার মায়ের সঙ্গে থাকে। বাবা মারা গিয়েছেন জন্মের আগেই। আগে মা আর মেয়ে দুজনে জঙ্গল থেকেফুল তুলে মালা গেঁথেবিক্রি করত। মা অসুস্থ বলে, এখন তাকে একা-একাই সব কাজ করতে হয়। সারাদিন ফুলবিক্রি করেপানি নিয়েবাড়ি ফিরছিল মেয়েটি। আরতখনই রাজার সঙ্গে দেখা। মেয়েটির কথা শুনে ভীষণ দুঃখ হল রাজার। এত ছোট্ট একটি মেয়ে, অথচ কত কষ্টেরজীবন তার! মেয়েটির মাথায় হাত বুলিয়েদিলেন রাজা। এই অভাবিত স্নেহে মেয়েটি একেবারে বিগলিত হয়ে পড়ল। সে কখনও তার বাবাকে দেখেনি। এই লোকটিকে দেখে তারনিজের বাবার কথা মনে পড়েগেল। বাড়ির পাশে তার বয়সী মেয়েদের সে দেখেছে, তাদের বাবারা তাদের কত আদরকরে। মেলা থেকে কত কী কিনে এনে দেয়। কী সুন্দর বাড়িতে ঢুকেই ‘মা’, ‘মা’ বলে ডাকতেথাকে। কই, তাকে তো কেউএভাবেডাকে না। কতদিন সে লুকিয়ে লুকিয়ে কেঁদেছে। আজ এই অপরিচিত লোকটিকে দেখে তারমনেহল, তার বাবা বুঝি এমনই ছিল। তার বাবা থাকলেতাকে বুঝি এভাবেই মা বলে ডাকত! চোখ দুটো ছলছল করেউঠল মেয়েটির। সে রাজাকে বলল, “চলুন আমাদের বাড়িতে। আমার মা আপনাকে দেখেখুব খুশি হবেন।” মেয়েটির কথায় রাজা কেমন যেন অভিভূত হয়েগেলেন। মেয়েটিরসঙ্গে তাদের বাড়িতে গিয়েদেখেন, একটি জীর্ণ পর্ণকুটির। ভেতরে একটা পাটি বিছিয়ে শুয়ে আছে এক অসুস্থ নারী। মেয়েটি মায়ের সঙ্গেরাজার পরিচয় করিয়ে দিল। মেয়েটির মায়ের সঙ্গে অনেক কথা হল রাজার। রাজা কিন্তুনিজের পরিচয় দিলেন না। কেউ বুঝতেই পারল না যে, তিনি আসলে একজন পরাক্রমশালী রাজা। কথা প্রসঙ্গে রাজা জানলেন, এই মেয়েটির জন্ম আর তারনিজের মেয়ের জন্ম একই দিনে। ভীষণ কৌতহল হল রাজার। মেয়েটির প্রতি তার আরও তীব্র মমতা তৈরি হল। সে সারাক্ষণ মেয়েটির সঙ্গে সঙ্গে থাকে। তার সঙ্গে গল্প...
বাকিতার জন্যে সাথেই থাকো।

অত্যাচারী রাজা

অত্যাচারী বাদশাহ এর গল্প
           

এক দেশে এক অত্যাচারী বাদশাহ ছিলেন। বিভিন্ন রকমের অত্যাচার তিনি করতেন। লোকজনের ঘোড়া-গাধা জোর করে কেড়ে নিতেন। বাদশাহ একদিন সৈন্যসামন্ত সঙ্গে নিয়ে শিকার করতে গেলেন। দলবল নিয়ে শিকার করতে আসা রাজাদের একটা অভিজাত্য এবং এটা একটা বড় উৎসব। রাজা একা একা একটা শিকারের পেছনে ধাওয়া করতে করতে অনেকদূর চলে গেলেন। তাঁর অন্য কোনদিকে খেয়াল নেই।
তখন সন্ধা। রাজা টের পেলেন বনের মাথায় ঘন আঁধার নামছে। সঙ্গেকোনো অনুচর নেই। সম্পূর্ণ অপরিচিত স্থান। তিনি কাছাকাছি এক গ্রামেগিয়ে আশ্রয় নিলেন। এক ধনবান ব্যক্তির বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। কিছুক্ষণ পর তিনি দেখলেন, ধনী ব্যক্তিটি তার গাধাকে বেদম প্রহার করছে। গাধা কাতর হয়ে চিৎকার করছে। লোকটি নির্বিকার। সে গাধার একটা  পা ভেঙে দিল। রাজা তাই দেখে লোকটিকে বললেন–
কী হে, অবলা জীবটাকে এভাবে পিটাচ্ছ কেন? গাধার ঠ্যাং ভেঙে তুমি নিজেরশক্তি পরীক্ষা কর?
লোকটি উত্তেজিতভাবে জবাব দিল: আমার কাজ ভালো কি মন্দ, আমিই সেটা খুব ভালোভাবেজানি। গায়েপড়ে তোমার কথা বলার কোন প্রয়োজন নেই।

জবাব শুনেবাদশাহখুব দুঃখ পেলেন। এইভাবে এইনিরীহ প্রাণটিাকে মারা কী কারণ থাকতেপারে দয়া করেসেটা আমাকে বুঝিয়ে বলবে কি? আমারমনে হচ্ছে, তুমি যেশুধুনির্বোধতাইনয় বরং আস্ত একটা পাগল। লোকটি একথায় হেসে বলল: হ্যাঁ, আমি পাগলইবটে। তবে সব শুনলে তুমিও বুঝবে, আমি নির্বোধের মতো গাধাটার পা ভেঙে দিইনি। এরমধ্যে একটা উদ্দেশ্য আছে আমার। আমাদের বাদশাহখুব অত্যাচারী। একথা সবাই জানে। আমার সুস্থ সবল গাধাটির খবরপেলেনিশ্চয়ই তিনি জোর করেএটা নিয়েযাবেন। শুনেছি, আমাদের এইএলাকায় বাদশাহ এসেছেন। তাই গাধাটাকে বাদশাহর অত্যাচার থেকে রক্ষা করবার জন্যে খোঁড়া করেদিলাম। বাদশাহগাধাটিকে কেড়েনিয়েযাওয়ার চেয়ে খোঁড়া অবস্থায় এটা আমার কাছেথাকা অনেক ভালো। আমাদের অত্যাচারী বাদশাহকে জানাই শত ধিক! বাদশাহগ্রামবাসী লোকটির মুখে নিন্দা শুনে খুবই দুঃখ পেলেন। কোন জবাব দিলেন না। রাগে, অপমানে, দুঃখে সারারাত দুচোখের পাতা এক করতে পারেননি। ঘুমহীন রাত কাটল। ভোরেরআলো ফুটল পুব আকাশে। মৃদুবাতাসবয়ে যাচ্ছে। পাখির কলকাকলিতে মুখর চারদিক। সৈন্যসামন্ত বাদশাহকে খুজতে খুজতে সাতসকালে হাজির হল সেই গ্রামে। ধনী লোকের বাড়িরসামনেএল তারা। শত শত লোকজনের মুহূর্তে ভিড় হয়ে গেল। সুসজ্জিত ভৃত্যেরা বাদশাহর সেবায় নিয়োজিত হল। সেই বাড়ির সামনে জাঁকজমকপূর্ণ বিশাল দরবারবসে গেল। রাজ্যের প্রধান প্রধান ব্যক্তি রাজার সামনেএসেআসন গ্রহণ করলেন। রাজকীয খানাপিনার আয়োজন করা হলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই এলাকার সম্পূর্ণ পরিবেশ পালটে গেল। সৈন্যদল ওঘোড়ার পদভরে থরথর করে কাঁপতে লাগল সেই এলাকা।
 বাড়িরসেই লোকটি ব্যাপারস্যাপার দেখে একেবারে থ। গতরাতেস্বয়ং বাদশাহ ছিলেন তার অতিথি। অর্থাৎ বিপদ ঘনিয়েএসেছে। বাদশাহ ডেকে পাঠালেন লোকটিকে। ধরে বেঁধে তাকে আনা হল বাদশাহ’র সামনে। লোকটি বুঝল, তারআত্মরক্ষার আর কোন উপায় নেই। এই মুহূর্তেই তার জীবন শেষ হবে। আর ভয় করা বৃথা। কারণ উদ্যত তরবারির নিচেই মানবের ভাষা অধিকতর শক্তিশালী হয়েথাকে।

তাই লোকটি সাহসের সঙ্গে বলল– হে মহামান্য বাদশাহ, আমি একাই শুধু আপনার নিন্দা করি নাই। খবর নিয়ে দেখুন, জনসাধারণ সকলেই একই কথা বলে থাকে। আমাকে সহজেই হত্যা করা আপনারপক্ষেসম্ভব। আমার কথায় আপনি মনে আঘাত পেয়েছেন–সেজন্য আমি দুঃখিত। কিন্তু আপনার উচিৎ হবে ভালো কাজ করা– যেন কেউ আপনার বদনাম করতে না পারে। অন্যায় করে কখনই সুনাম অর্জন করা সম্ভব নয়। আপনার কর্মচারীরা সারাক্ষণ আপনার গুণকীর্তন করে থাকে। এতে রাজার সম্মান বৃদ্ধি পায় না। প্রজারা যদি বাদশাহ’র সুনাম করে, তাতেই বাদশাহ’র সম্মান বাড়ে। বাদশাহ এই সাহসী সত্যকথা শুনে দারুন উদ্দীপ্ত হলেন। লোকটিকে মুক্ত করে দিলেন। সকলের উদ্দেশ্যে বললেন: আমি আজথেকে চেষ্টা করব ন্যায়পরায়ন, ‍সুশাসক হতে। আমি চাই একজন ভালো বাদশাহ হতে। যেন আমার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে দিক দিগন্তরে।